প্রশ্নঃ অনেক সময় দেখা যায় দুর্ঘটনা বা বিপদ থেকে ভক্তকে ভগবান রক্ষা করেন না, কেন?
★☞প্রশ্নঃ- অনেক সময় দেখা যায় দুর্ঘটনা বা বিপদ থেকে ভক্তকে ভগবান রক্ষা করেন না, কেন? ★☞উত্তরঃ- দুর্ঘটনাকেও শুদ্ধ ভক্ত ভগবানের বিশেষ কৃপারূপে গ্রহণ করে থাকেন। যেমন শ্রীল পরীক্ষিৎ মহারাজ এক ব্রাহ্মণদ্বারা অভিশপ্ত ছিলেন যে, সাতদিনের মধ্যে তক্ষক দংশনে তার মৃত্যু হবে। তখন তিনি জাগতিক ক্রিয়া-কলাপ থেকে অবসর নিয়ে সাতদিন গভীর মনোযোগে মুক্তপুরুষ শ্রীল শুকদেব গোস্বামী মুখ থেকে ভাগবত শ্রবণ করতে করতে অনায়াসে ভগবদ্ধামে গমন করলেন। তক্ষক দংশন করল ঠিকই, কিন্তু দংশন যাতনা তাকে প্রভাবিত করেনি। কারণ তিনি ভগবৎচেতনায় আবিষ্ট ছিলেন। কেবলমাত্র সেই ঘটনাকে মাধ্যম করে তিনি জড়জগৎ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে চিন্ময় জগতে প্রবেশ করলেন। যা অভক্তদের পক্ষে সম্ভব নয়। ভগবান এমন করতেন যাতে তক্ষক কিছুতেই পরীক্ষিৎ মহারাজকে দংশন করতে না পেরে একবারে পালিয়ে যেত, তাহলে আপনি হয়তো মনে করতেন যে, ভগবান ভক্তকে রক্ষা করলেন। তক্ষক দংশন করলে মানেই - ভগবান ভক্তকে রক্ষা করলেন না। তাই না? কিন্তু এভাবে বাহ্য দৃষ্টিতে ভগবানের ভক্তরক্ষা কার্য বিচার করা হয় না। অনেকের ধারণা এই যে, ভক্ত হলে তিনি আর কোনও প্রকার দুর্ঘটনা বা বিপত্তির সম্মুখীন হবেন না। কিন্তু তা ঠিক নয়। জড় জগৎ বলতে দুর্ঘটনা বা বিপত্তিপূর্ণ জগৎ। এখানে বিপত্তি থাকবেই। কিন্তু কৃষ্ণচেতনাময় ভক্ত সেই সব বিপত্তির মুখে আরও বেশি করে কৃষ্ণ শরণাগত থাকেন। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ- দুঃখে থাকো, সুখে থাকো, সদা হরি বলে ডাকো। যদি এই জগতের প্রাণ থাকে তবে কৃষ্ণ ভজনা করতে হবে, প্রাণহানি হলে কৃষ্ণ লোকে ফিরে যাবেন। এটি ভক্তি জীবনের মুনাফা। ....হরিবোল...
No comments